ছবির হাট (Chobir Hat) হচ্ছে শিল্প, সংস্কৃতি ও ভ্রমণের এক চমৎকার মিলনমেলা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ধানমন্ডি লেকের পাশে অবস্থিত “ছবির হাট” কেবল একটি জায়গা নয়, এটি শিল্পপ্রেমী, পর্যটক এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের জন্য এক অনন্য মিলনস্থল। এই স্থানে দেশের তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ পায় এবং প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমায় শিল্পকর্ম দেখতে আসা মানুষজন।
আরও: সদরঘাট
ছবির হাটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ছবির হাটের যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের তরুণ শিল্পীদের সৃষ্টিকর্ম প্রদর্শন এবং বিক্রির জন্য একটি মুক্ত মঞ্চ হিসেবে। এটি এক সময় ছিল খোলা জায়গায়, যেখানে শিল্পীরা নিজেদের আঁকা ছবি এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম প্রদর্শন করতেন। পরবর্তীতে এটি একটি পরিচিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়।
কিভাবে যাবেন
ছবির হাট ধানমন্ডি লেকের ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে অবস্থিত। আপনি বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে এখানে ভ্রমণে আসতে পারেন।
- গাড়ি বা রিকশায়: ঢাকা শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই এখানে আসা যায়।
- লেক ভ্রমণ: ধানমন্ডি লেকের একটি প্রান্ত থেকে নৌকায় করেও ছবির হাটের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব।
- পায়ে হেটে: যারা ধানমন্ডি এলাকায় থাকেন, তারা হেঁটে গিয়েও এই জায়গাটি উপভোগ করতে পারেন।
আরও: হাতিরঝিল
কেন ছবির হাটে যাবেন
১. শিল্পকর্মের প্রদর্শনী
ছবির হাটে সপ্তাহান্তে (কাজের দিন এবং সপ্তাহান্ত (Weekend) হল সপ্তাহের পূর্বনির্ধারিত নির্দিষ্ট কাজ-কর্ম করার দিন) এবং বিশেষ দিনে বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শনী হয়। এখানে চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি এবং ভাস্কর্য প্রদর্শন করা হয়।
২. তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীলতা
তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল কাজ দেখার এবং তাদের কাজ কেনার সুযোগ এখানে পাওয়া যায়।
৩. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র
শুধু শিল্প নয়, ছবির হাটে প্রায়ই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেমন গান, আবৃত্তি এবং নাটক মঞ্চস্থ হয়ে থাকে।
আরও: তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
ভ্রমণ টিপস
- সময়: এখানে বিকেলের দিকে গেলে জায়গাটির আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
- ক্যামেরা আনবেন: এখানকার পরিবেশ এবং শিল্পকর্ম ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ স্থান।
- ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং: ছবির হাটের কাছে পার্কিংয়ের সুবিধা সীমিত, তাই গণপরিবহন বা রিকশা ব্যবহার করা উত্তম হবে।
- স্থানীয় খাবার উপভোগ: কাছেই ধানমন্ডির বেশ কিছু খাবারের দোকান আছে, যেখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানের খাবার পাওয়া যায়।
ছবির হাট কেবল একটি স্থানের নাম নয়, এটি শিল্প, সংস্কৃতি এবং ভ্রমণের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ। ঢাকা শহরের কোলাহল থেকে একটু মুক্তি পেতে এবং সৃজনশীলতা ও সৌন্দর্যের মধ্যে সময় কাটাতে এটি এক অসাধারণ জায়গা।
ফেসবুক: কুহুডাক