রংপুর বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আজকের পোস্ট। রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অঞ্চল। এই বিভাগে রয়েছে প্রাচীন মন্দির, জমিদার বাড়ি, প্রাকৃতিক উদ্যান ও নদীভূমি—যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। যারা ভ্রমণপ্রেমী ও ইতিহাসপ্রেমী, তাদের জন্য রংপুর একটি আদর্শ গন্তব্য। চলুন জেনে নিই রংপুর বিভাগের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
আরও: জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ
১. তাজহাট জমিদার বাড়ি (রংপুর)
তাজহাট জমিদার বাড়ি, রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি নির্মাণ করেছিলেন জমিদার গোবিন্দলাল রায়, যিনি হীরে ও রত্ন ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯০০ সালের দিকে তৈরি এই প্রাসাদটি তার মার্বেল পাথরের নকশা ও ইউরোপীয় রেনেসাঁ ধাঁচের স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।
ভবনটির সম্মুখভাগে রয়েছে বিশাল সিঁড়ি ও গম্বুজযুক্ত ছাদ, যার প্রতিটি অংশই শিল্পগুণে অনন্য। ২০০৫ সালে এটিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে এনে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এখানে প্রাচীন মুদ্রা, মূর্তি, শিলালিপি, অস্ত্র এবং জমিদারি আমলের ব্যবহৃত সামগ্রী সংরক্ষিত আছে। যারা ইতিহাস ভালোবাসেন বা পুরনো দিনের আভিজাত্য দেখতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্য-দেখার স্থান।
প্রধান আকর্ষণ
- মার্বেল পাথরে নির্মিত জমিদার প্রাসাদ
- জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শন
- সুশোভিত বাগান ও মনোরম পরিবেশ
ভ্রমণের সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ (শীতকালে আবহাওয়া মনোরম থাকে)
প্রবেশ মূল্য
বাংলাদেশি: ২০ টাকা
বিদেশি: ২০০ টাকা
শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় রয়েছে
২. কান্তজিউ মন্দির (দিনাজপুর)
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত কান্তজিউ মন্দির বাংলার টেরাকোটা শিল্পের এক অতুলনীয় নিদর্শন। রাজা প্রাণনাথ ও তার পুত্র রাজা রামনাথ ১৭০২ সালে মন্দিরটির নির্মাণ শুরু করেন এবং এটি ১৭৫২ সালে সম্পূর্ণ হয়। তিনতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরটি এক সময়ের অন্যতম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল।
বর্তমানে এটি একটি দর্শনীয় ও পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ স্থান হিসেবে বিবেচিত। পুরো মন্দিরজুড়ে রামায়ণ, মহাভারত এবং কৃষ্ণের লীলার নানা কাহিনী মাটির ফলকে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি খোদাই এমন নিখুঁতভাবে করা হয়েছে যে, তা শতাব্দী পেরিয়েও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং একটি জীবন্ত ইতিহাস, যেখানে একঝলকেই দেখা যায় বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের চিহ্ন।
প্রধান আকর্ষণ
- মাটির টেরাকোটায় খোদিত মহাকাব্যের দৃশ্য
- তিনতলা বিশিষ্ট প্রাচীন স্থাপত্য
- মন্দির প্রাঙ্গণের নান্দনিক পরিবেশ
ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি (শীতকালে ভ্রমণ সহজ ও আরামদায়ক)
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি (কোনো প্রবেশ ফি নেই)
৩. নীলসাগর দীঘি (দিনাজপুর)
নীলসাগর দীঘি দিনাজপুর সদর উপজেলার রামসাগর জাতীয় উদ্যানের নিকটে অবস্থিত একটি বিশাল জলাধার। প্রায় ৫৩ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই দীঘির ইতিহাস রাজা নীলম্বর এর সঙ্গে জড়িত। কথিত আছে, তিনি তাঁর প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করার উদ্দেশ্যে এই দীঘিটি খনন করেছিলেন।
যদিও প্রাচীন এই দীঘির আসল বয়স ও ইতিহাস নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে, তবে আজ এটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট ও ভ্রমণ স্থান হিসেবে পরিচিত। দীঘির চারপাশে রয়েছে নারকেল গাছ, সবুজ মাঠ ও বসার স্থান। শীতকালে এখানে হাজারো পরিযায়ী পাখি আসে, যা পাখিপ্রেমীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের কাছে এটি ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানও।
প্রধান আকর্ষণ
- বিশাল দীঘি ও স্বচ্ছ জলরাশি
- পরিযায়ী পাখি দর্শনের সুযোগ
- পিকনিক ও অবসর সময় কাটানোর মনোরম পরিবেশ
ভ্রমণের সেরা সময়
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি (পাখি দেখার জন্য উপযুক্ত সময়)
প্রবেশ মূল্য
প্রাপ্তবয়স্ক: ১০ টাকা
শিশু: ৫ টাকা
পিকনিক পার্টির জন্য আলাদা চার্জ নির্ধারিত
৪. রামসাগর জাতীয় উদ্যান (দিনাজপুর)
রামসাগর জাতীয় উদ্যান দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থান। ১৭৫০ সালের দিকে দিনাজপুরের রাজা রামনাথ তাঁর প্রজাদের পানির সংকট দূর করতে প্রায় ৪,৩৭,৪৯২ টাকা ব্যয়ে খনন করেন এই দীঘিটি। সেই থেকে এটি “রামসাগর” নামে পরিচিত।
দীঘিটি প্রায় ১,০৭৯ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৯২ মিটার প্রস্থের, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের দিনে এটি একটি জাতীয় উদ্যান ও পিকনিক স্পট হিসেবে সুপরিচিত। চারপাশে বিস্তৃত বৃক্ষরাজি, হাঁটার পথ, বসার বেঞ্চ, শিশু পার্ক ও পাখির ডাকা মুগ্ধ পরিবেশ একে করে তুলেছে প্রকৃতি ও পরিবারভিত্তিক ভ্রমণের আদর্শ স্থান।
প্রধান আকর্ষণ
- ঐতিহাসিক রামসাগর দীঘি
- হরিণ, পাখি ও ছোট খাঁচার প্রাণী
- মনোরম উদ্যান ও শিশুদের খেলার মাঠ
ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি (শীতকালে পরিযায়ী পাখি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া)
প্রবেশ মূল্য
প্রাপ্তবয়স্ক: ২০ টাকা
শিশু: ১০ টাকা
পিকনিক পার্টি: আলাদা ফি প্রযোজ্য
৫. নয়াবাদ মসজিদ (দিনাজপুর)
নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর জেলার কান্তজিউ মন্দিরের নিকটস্থ একটি প্রাচীন মসজিদ। ১৭৯৩ সালে মির্জা গোলাম পির দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন। মসজিদটি ছোট হলেও এর স্থাপত্যশৈলী ও কারুকাজ দেখলেই বোঝা যায় তৎকালীন সময়ের নির্মাণশৈলীর উৎকর্ষ। এর ছাদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ এবং দেয়ালে রয়েছে সূক্ষ্ম নকশা।
ধারণা করা হয়, এটি কান্তনগর রাজবাড়ির মুসলিম কর্মচারীদের নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত হয়েছিল। ইতিহাস ও ধর্মীয় স্থাপত্যে আগ্রহীদের জন্য এটি একটি নীরব অথচ বলিষ্ঠ সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রধান আকর্ষণ
- তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের নকশা
- ১৮শ শতাব্দীর মুসলিম স্থাপত্যশৈলী
- মসজিদসংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ
ভ্রমণের সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি
আরও: ভিন্নজগত পার্ক
৬. ভবেরচর মঠ (ঠাকুরগাঁও)
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় অবস্থিত ভবেরচর মঠ একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা, যা বহু শতাব্দীর ইতিহাস বহন করছে। কথিত আছে, এটি ১৮শ শতকে রাধা-কৃষ্ণের ভক্ত এক সাধুর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। প্রায় ৮০ ফুট উঁচু এই মঠটির দেয়ালে সূক্ষ্ম নকশা ও শিলালিপি দেখা যায়, যা তৎকালীন কারিগরদের নৈপুণ্যের সাক্ষ্য বহন করে।
মঠের নিকটেই রয়েছে একটি প্রাচীন দীঘি ও ছোট্ট বাগান, যা দর্শনার্থীদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। স্থানীয়ভাবে এটি ‘ভবদেব মঠ’ নামেও পরিচিত এবং মাঘী পূর্ণিমায় এখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান আকর্ষণ
- উঁচু স্থাপত্য বিশিষ্ট প্রাচীন মঠ
- শিলালিপি ও টেরাকোটা শিল্প
- দীঘি ও মেলা কেন্দ্রিক জনজীবন
ভ্রমণের সেরা সময়
জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি (মেলা উপলক্ষে ও আবহাওয়া সুন্দর থাকে)
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি
৭. চিকলিটার কাঁচা রাস্তা ও পদ্মপুকুর বিল (নীলফামারী)
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় অবস্থিত চিকলিটার কাঁচা রাস্তা ও পদ্মপুকুর বিল হলো এক অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। বর্ষাকালে এ অঞ্চলে যখন জল জমে পদ্মফুলে পূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন এই রাস্তার দু’পাশ যেন এক রঙিন স্বপ্নলোক। রাস্তার দুই পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দেখা মেলে শাপলা ও পদ্মফুলের, আর মাঝে চলে যায় সোজা মাটির পথ—যা সাইকেল, মোটরবাইক বা পায়ে হেঁটে উপভোগ্য। ভোরে ও সূর্যাস্তের সময় এখানকার দৃশ্য এক কথায় অপূর্ব। ফটোগ্রাফারদের জন্য আদর্শ জায়গা এটি।
প্রধান আকর্ষণ
- বর্ষাকালে পদ্মফুলে ভরা বিল
- কাঁচা মাটির সড়ক ও গ্রামের দৃশ্যপট
- সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য
ভ্রমণের সেরা সময়
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (বর্ষা মৌসুমে ফুল ফোটে)
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি (তবে নৌকাভ্রমণের জন্য আলাদা খরচ হতে পারে)
৮. মহিপুর রাজবাড়ি (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় অবস্থিত মহিপুর রাজবাড়ি এক সময়ের জমিদারি ঐতিহ্যের চিহ্ন বহন করে। রাজা মহিপাল এই রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এখন এটি বেশিরভাগই ধ্বংসপ্রাপ্ত, তবু বাকি কাঠামো ও প্রাচীরগাত্রের কারুকাজ দেখে বোঝা যায় কতটা জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই প্রাসাদ।
রাজবাড়ির ভগ্নপ্রায় গেট, বিশাল আঙিনা ও আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন সময়কে পিছনে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের মধ্যে এখনো রাজপরিবারের নানা গল্প ও কিংবদন্তি ছড়িয়ে আছে। ইতিহাস ও পুরাকীর্তি ভালোবাসেন এমন পর্যটকদের জন্য এটি একটি দুর্লভ গন্তব্য।
প্রধান আকর্ষণ
- ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ির ঐতিহাসিক সৌন্দর্য
- গ্রামীণ পরিবেশ ও শান্ত নিসর্গ
- ফটোগ্রাফি ও ঘুরে দেখার সুযোগ
ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি
৯. তিস্তা ব্যারাজ (লালমনিরহাট)
তিস্তা ব্যারাজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলসম্পদ প্রকল্প। লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত এই ব্যারাজটি তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে মূলত বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষিকাজের জন্য। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫০ মিটার এবং এর পাশে গড়ে উঠেছে একটি মনোরম প্রাকৃতিক এলাকা।
তিস্তা নদীর স্বচ্ছ জলরাশি, পাখিদের কলকাকলি ও বিস্তৃত নদীর তীরের দৃশ্য একে করে তুলেছে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। অনেকেই এখানে নৌকায় ঘুরে বেড়ান বা পিকনিক আয়োজন করেন।
প্রধান আকর্ষণ
- বিশাল তিস্তা ব্যারাজ ও নদী
- নদীর তীর ধরে হাঁটার সুযোগ
- মাছ ধরার নৌকা, সূর্যাস্ত
ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি
১০. বুড়িমারী স্থলবন্দর ও সীমান্ত (লালমনিরহাট)
বুড়িমারী একটি সীমান্ত অঞ্চল, যা ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তের বিপরীতে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক স্থলবন্দর হলেও, অনেক পর্যটক এখানে সীমান্ত ও সীমান্তজীবনের অভিজ্ঞতা নিতে আসেন। তিস্তা নদীর প্রবাহ ও সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখা একটি অনন্য অভিজ্ঞতা।
সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে আছে ছোট বাজার, চা দোকান, পণ্যবাহী ট্রাক ও সৈনিকদের কার্যক্রম—যা সীমান্তজীবনের বাস্তবতা ও গতি এনে দেয়। যারা সীমান্ত এলাকা দেখতে চান বা বাস্তব জীবনের গন্তব্যভিত্তিক ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য বুড়িমারী একটি ভালো অপশন।
প্রধান আকর্ষণ
- আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা
- বন্দরজীবনের বাস্তবতা
- তিস্তা নদীর পাশের গ্রামাঞ্চল
ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি
প্রবেশ মূল্য
ফ্রি (তবে নিরাপত্তা চেক ও নির্দেশনা মেনে চলতে হয়)
রংপুর বিভাগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এক বিস্ময়কর এলাকা। এ অঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে, তেমনি প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পরিবেশ আপনাকে এনে দেবে প্রশান্তি ও আনন্দ।
বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রংপুর একটি চমৎকার গন্তব্য, যেখানে শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ রয়েছে।
ফেসবুক: কুহুডাক