প্রয়োজনে: +88 0170-3419108 (Call/WhatsApp)
কুহুডাক স্মৃতি জাদুঘরের প্রায় সকল তথ্য সংগৃহীত। আপনিও অবদান রাখতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রাচীন নিদর্শন, ঐতিহাসিক স্থান, সংগ্রাম, রাজনীতি ও ঐতিহ্যের চিত্র।
লোকসংগীত, মেলা, কৃষি, মৎস্য, গ্রামীণ জীবনযাপন এবং পেশাজীবী ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য।
তাঁত, জামদানী, মৃৎশিল্প, চামড়াশিল্প, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং গৃহস্থালির নান্দনিক শৈলী।
প্রবাদ-প্রবচন, আঞ্চলিক ভাষা, লোককাহিনি, সাহিত্য এবং ভাষার বিবর্তনের ধারণা।
নদী, পাহাড়, বনাঞ্চল, জলবায়ু এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্ব।
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, আধুনিক সাফল্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রগতি।
ঢেঁকি (Dhenki, Dhiki, Dhinki বা Dheki), বাংলা সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জীবনের একটি অমূল্য ঐতিহ্য। এটি মূলত চাল প্রস্তুতের একটি প্রাচীন যন্ত্র, যা বাংলার কৃষিপ্রধান সমাজে এক সময় অপরিহার্য ছিল। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ঢেঁকির ব্যবহার প্রায় বিলুপ্তপ্রায় হলেও এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। আরও: পালকি ঢেঁকির গঠন ও কার্যপ্রণালী ঢেঁকি কাঠ দিয়ে তৈরি একটি লম্বা কাঠামো, যা এক প্রান্তে ভারী কাঠ বা ধাতুর একটি পিণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। কাঠামোটির অন্য প্রান্তে পা দিয়ে চাপ দিলে ভারী প্রান্তটি উপরে উঠে…
কুহুডাক জাদুঘর (Kuhudak Museum) বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনধারা, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি অনলাইন ভান্ডার বা ডিজিটাল স্মৃতি সংগ্রহশালা।
এই আর্কাইভে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, গ্রামীণ জীবনধারা, প্রাকৃতিক পরিবেশ, খেলাধুলা এবং ভাষা-সাহিত্য নিয়ে তথ্যভিত্তিক পোস্ট রয়েছে।
গবেষক, শিক্ষার্থী, এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যগুলো গবেষণা, ঐতিহাসিক দলিলপত্র, স্থান পরিদর্শন এবং অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলে সংগ্রহ করা হয়।
আপনার কাছে যদি বাংলাদেশের ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি সম্পর্কিত তথ্য, ছবি ইত্যাদি থাকে, তাহলে এখনই জাদুঘর কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে তা শেয়ার করুন।
কুহুডাক জাদুঘর (Kuhudak Museum) একটি স্মৃতিভিত্তিক ডিজিটাল সংগ্রহশালা। এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য হলো আমাদের চারপাশে হারিয়ে যেতে বসা ইতিহাস, স্মৃতি, ব্যক্তি-গল্প, স্থানিক পরিবর্তন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলো সংরক্ষণ করা। “সময় শুধু সামনে এগিয়ে যায় না, পেছনেও রেখে যায় গল্পের ছায়া। সেই ছায়ার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে আমাদের শেকড়, আমাদের পরিচয়।”
একটা সময় ছিল যখন পুরনো বাড়ির বারান্দা, গ্রামীণ রাস্তা, আড্ডার মাঠ কিংবা অচেনা অথচ পরিচিত গন্ধের কোনো জায়গা আমাদের জীবনের অংশ ছিল। সময়ের প্রবাহে সেসব স্থান, মানুষ আর অভিজ্ঞতা একে একে হারিয়ে যেতে বসেছে। কুহুডাক জাদুঘর ঠিক সেই হারানো স্মৃতিগুলোকেই ধরে রাখার একটি উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু গল্প, স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা থাকে, যেগুলো শুধু ব্যক্তিগত নয় — বরং সময়ের দলিল। কুহুডাক জাদুঘর সেই দলিলগুলোকে খুঁজে বের করে, সংরক্ষণ করে এবং একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করে।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন টাওয়ার উঠছে, চায়ের দোকান হারিয়ে যাচ্ছে, গ্রামীণ হাট মিশে যাচ্ছে শহরের শপিং মলের ভিড়ে। এসবের মাঝেও কিছু মানুষ আছেন, যাদের মনে এখনও বয়ে চলে পুরনো দিনের কথা, হারানো পথে হাঁটার স্মৃতি, অথবা এক টুকরো গ্রাম-জীবনের চিহ্ন।
আমাদের উদ্দেশ্য হলো:
আমরা বিশ্বাস করি, সব স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ — যদি তা সময়ের চিহ্ন বহন করে। কুহুডাক জাদুঘরে আপনি যেসব বিষয় দেখতে ও জানাতে পারেন:
স্কুলজীবনের গল্প, প্রথম চিঠি, প্রিয় রেডিও অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা, ৯০ এর দশকের বাজার করা বা গ্রামের পুকুরপাড়ের গল্প, লুকিয়ে সিনেমা দেখা, কানামাছি খেলা — এগুলো ব্যক্তিগত হলেও আমাদের সামষ্টিক জীবনের দলিল।
দাদির মুখে শোনা প্রাচীন কাহিনি, ভূতের গল্প, পরিবারের বংশপরম্পরার ইতিহাস, বা কোনো এলাকায় প্রচলিত গল্প — যা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে।
পুরনো পত্রিকা, ডায়েরির পৃষ্ঠা, বিয়ের কার্ড, স্কুলের রেজিস্টার বই, কিংবা এমনকি কোনো পুরনো বিজ্ঞাপন বা ক্যালেন্ডার — যেগুলো একসময় দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল।
আপনার পাড়ার সেই পুরনো লাইব্রেরি, বা এক সময়ের জমজমাট সিনেমা হল — যেগুলো হয়তো এখন হারিয়ে গেছে, কিন্তু স্মৃতিতে এখনো জীবন্ত।
কোনো উৎসব কিভাবে পালিত হতো, বা একটি পেশা কিভাবে হারিয়ে গেল — এই পরিবর্তনগুলোই ভবিষ্যতের জন্য একটি সামাজিক দলিল হয়ে থাকবে।
“স্মৃতি হারালে ইতিহাস হারায়। আর ইতিহাস হারালে, জাতি তার শেকড় হারায়।”
আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু থাকে যা সময়ের চিহ্ন বহন করে। কুহুডাক জাদুঘর সেই চিহ্নগুলোকেই ধরে রাখতে চায় — শব্দে, ছবিতে, গল্পে, আর হৃদয়ের আবেগে।
আমাদের জাদুঘর গড়ে উঠছে মানুষের অংশগ্রহণে। আপনি চাইলে নিজের লেখা, ছবি, কাহিনি, বা পুরনো কোনো নিদর্শন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। অথবা জাদুঘর কমিউনিটিতে লিখতে পারেন। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। আমরা চাই, কুহুডাক জাদুঘর হয়ে উঠুক সকলের মিলিত স্মৃতির জায়গা।
আপনিও চাইলে অবদান রাখতে পারেন —
কুহুডাক জাদুঘর কেবল ফাইল বা তথ্যের সংগ্রহ না — এটি আবেগ, সময়, সম্পর্ক আর হারিয়ে যাওয়া দিনের গল্প ধরে রাখার চেষ্টা। এখানে প্রতিটি মানুষ একজন “স্মৃতি সংরক্ষক”। আর আপনি? আপনি হতে পারেন আমাদের আগামী দিনের ইতিহাসের এক অনন্য নির্মাতা।