হ্যাপি আইল্যান্ড (Happy Island) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার ভেদভেদী এলাকায় অবস্থিত। এই দ্বীপ কাপ্তাই লেকের মধ্যস্থলে গড়ে তোলা হয়েছে।
আজকের পোস্টে আমরা রাঙ্গামাটি জেলার ওয়াটার পার্ক হ্যাপি আইল্যান্ড সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক…

আরও: সাজেক ভ্যালি
হ্যাপি আইল্যান্ড ওয়াটার পার্ক
ভ্রমণ স্থান | হ্যাপি আইল্যান্ড |
ধরন | ওয়াটার পার্ক |
অবস্থান | ভেদভেদী, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম |
আয়তন | ৪৫ শতক |
প্রবেশ মূল্য | জনপ্রতি ২০০ টাকা |
সাপ্তাহিক বন্ধ | সোমবার |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | প্রায় ৩০৬ কিলোমিটার |
ড্রোন উড়ানো যাবে | অনুমতি সাপেক্ষে |
পিকনিকের ব্যবস্থা আছে | হ্যাঁ |
হেল্পলাইন | 01769312021, 01669312022 |
ওয়াটার আইল্যান্ড টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভ্রমণে গেলে দেখতে পাবেন চারিদিকে রয়েছে লেকের নীল রং এর স্বচ্ছ পানি ও তারই মধ্যবর্তী স্থানে দ্বীপ জুড়ে ৪৫ শতক জায়গায় তৈরী করা হয়েছে এই ওয়াটার পার্ক।

আরও: আলুটিলা পর্যটন পার্ক
হ্যাপি আইল্যান্ড পার্কে কি রয়েছে
লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা, হিতাক তোকে মানাইছে না রে, ইক্কেবারে মানাইছে না রে… প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার রাঙ্গামাটিতে মনোরম সবুজ প্রকৃতি ও চমৎকার নির্মাণশৈলীর এই দ্বীপটি মূলত একটি ওয়াটার পার্ক। বাংলাদেশে আরও একটি মানা বে ওয়াটার পার্ক রয়েছে।

পার্কটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের উদ্যোগে কাপ্তাই লেক পরিবেষ্টিত একটি টিলার উপর ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সালে তৈরি করা হয়। ভ্রমণে গেলে আপনি দেখতে পাবেন যে, প্রায় ৪৫ একর জায়গা জুড়ে একটি বিশালাকৃতির মাছের আদলে বিনোদনের ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এই হ্যাপি আইল্যান্ড।
পার্ক টি দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন রাইড যেমন, ওয়াটার রাইড, লেক ভিউ সুইমিং পুল এবং বোট রাইডিং সহ আকর্ষণীয় বেশ কিছু রাইড রয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে মৎস্য কন্যার ভাস্কর্য, সারি সারি ফুলের গাছ দিয়ে সুশোভিত সব বয়সী মানুষের ভালো লাগার মতো একটি স্থান। চাইলে আপনি পড়িবার নিয়ে ওয়াটার পার্ক থেকে ভ্রমণ করে আসতে পারেন।
পার্কটিতে পিকনিকের যাবতীয় সু-ব্যবস্থা করা আছে পাশাপাশি কফি শপও রয়েছে।

আরও: হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক
সময়সূচী ও প্রবেশ মূল্য
হ্যাপি আইল্যান্ডের সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। এছাড়া বাকি দিন গুলোতে সকাল ৮:৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
হ্যাপি আইল্যান্ডের প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০০ টাকা। আইল্যান্ড পার্কটি সেনা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে থাকা আরণ্যক হলিডে রিসোর্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে তাই হ্যাপি আইল্যান্ডে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে আরণ্যক রিসোর্টে প্রবেশ করতে হবে। আরণ্যক রিসোর্টে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা।
কিভাবে যাবেন
আপনি বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে এখানে ভ্রমণে আসতে পারবেন। রাজধানী ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসতে চাইলে ঢাকার ফকিরাপুর, গাবতলি ও কলাবাগান থেকে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য বিভিন্ন বাস পাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি যাওয়ার যে কোন বাসে চড়ে চলে আসুন রাঙ্গামাটি শহরে।
ভাড়া: রাঙ্গামাটি যেতে এসি বা নন-এসি বাস ভাড়া ৮৫০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা নিতে পারে।
বাস থেকে রাঙ্গামাটি ক্যান্টনমেন্ট নামবেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে মেইন রোড দিয়ে অটো, CNG বা স্থানীয় পরিবহণে করে চলে যেতে পারবেন আরণ্যক রিসোর্টের হ্যাপি আইল্যান্ডে।
কোথায় খাবেন
ভ্রমণে সাথে করে অবশ্যই খাবার পানি রাখবেন। আর খাওয়ার জন্য হ্যাপি আইল্যান্ডে ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আর যদি রিসোর্টে থাকেন তাহলে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ আপনার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া বনরুপা বাজার বা ভেদভেদীতে খাবার হোটেল পারেন। আপনি চাইলে রাঙ্গামাটি শহরের স্পাইস রেস্তোরা, পাজন রেস্টুরেন্ট, ইরিশ রেস্টুরেন্ট ও সাবারাং রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
আরও: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারের তালিকা
কোথায় থাকবেন
ভ্রমণে গিয়ে থাকার জন্য হ্যাপি আইল্যান্ডের আরণ্যক রিসোর্টে থাকতে পারবেন। আরণ্যক রিসোর্টে প্রতি রাতের জন্য রুম ভাড়া ৫ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা নিতে পারে।
চাইলে আপনি রাঙ্গামাটি শহরে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল প্রিন্স, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল মতি মহল, হোটেল জুম প্যালেস ও হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের মতো বেশকিছু আবাসিক হোটেল পাবেন।
ইউটিউব: কুহুডাক
Add your first comment to this post
You must be logged in to post a comment.